রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জন কারাগারে

রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারীর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ চার জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাদের জামিন না মঞ্জুর করে রবিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এ নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল বাহার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শফিকুল ইসলাম তরফদার।

কারাগারে যাওয়া চার আসামি হলেন– দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহার আলী খাঁ, সাধারণ সম্পাদক এসএম কহিদুল ইসলাম, পানানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু মাস্টার এবং মাহবুবুর রহমান লাল্টু।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই চার জন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর কালিনগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান রহমানের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পরদিন এমপির লোকজন দুর্গাপুর উপজেলা সদরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী শফিকুল ইসলাম তরফদার বাদী হয়ে ওই চার জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় চার আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। ওই জামিনের মেয়াদ গত ৩০ মার্চ শেষ হয়। এরপর রবিবার রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

আসামিপক্ষের হয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট সবুর খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহাব জেমস ও অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব রঞ্জু। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন।