ফসল রক্ষায় রাতের আঁধারে বাঁধ নির্মাণ করছেন হাজারও মানুষ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ২ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমির ফসল আগাম বন্যা থেকে রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন এলাকাবাসী। রাতের আঁধারে তারা ফসল রক্ষায় বিকল্প বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার বিকালে কংস নদের তীরে ডুবাইল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় ১৮৫ হেক্টর জমির ধান। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় চন্দ্র সোনার থাল হাওরের পুরো ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়ে। এরপর রাতে হাজার হাজার এলাকাবাসী দৌলতপুর এবং রাজাপুর গ্রামের পাশে ঘোড়ার চক্কর এলাকায় বিকল্প বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন। বাঁধটি নির্মাণ করা হলে চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ফসলি জমি রক্ষা পাবে।

ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিছ বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ রাতেই বিকল্প বাঁধ নির্মাণের কাজে লেগে পড়েছেন। এই হাওরটি রক্ষা করতে পারলে হাজার হাজার কৃষকের জমির ধান রক্ষা পাবে।

সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন জানান, ডুবাইল বাঁধ ভেঙে অনেক কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ডুবাইলের পানি যদি চন্দ্র সোনার থাল হাওরে পৌঁছে যায় তাহলে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই বিকল্প বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং, তবু চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আজ বিভাগীয় কমিশনার সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করছিলেন। এমন সময় ডুবাইল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর আসে। এই বাঁধ ভেঙে হাওরের ১৮৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করতে পারলে চন্দ্রসোনার থাল হাওর রক্ষা পাবে। ক্ষতির মাত্রাও কমে যাবে। এলজিইডির সাবমারসিবল সড়কে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করে চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ফসল রক্ষার চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরও জানান, ইতোপূর্বে পি আই সি গঠন এবং বাঁধের কাজে কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে এর জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।