মেহেরপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় মেহেরপুরে ঐতিহাসিক ‘১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস’ পালিত হয়েছে। রবিবার সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগরের আম্রকাননে শেখ হাসিনা মঞ্চে সমাবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।

আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাসিম বলেন, ‘যারা আজকে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করেন তারাই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছিল। কারাগারের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। যেটি মানবতার ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা।’

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পলাশীর আম্রকাননে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ঠিক তারপর ১৯৭১ সালে এই মুজিবনগর আম্রকাননে স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়েছিল।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগ্রাম শুরু করেন। তারপর ধাপে ধাপে ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।’

সমাবেশে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরের এই পবিত্র মাটিতে শপথ গ্রহণের পরপরই সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে উঠেছিল। তার পরের ইতিহাস নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৭১ সালের ১৭ এপ্রিলের পর থেকেই প্রতি বছর এই মুজিবনগরে যথাযথভাবে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়ে আসছে। আজকে আমাদের বড় লজ্জা, আওয়ামী লীগ ছাড়া জামায়াত-বিএনপি এই মহান দিবসটি পালন করে না। তারা নিজেদের স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি হিসেবে দাবি করলেও এই দিবসটি তারা কখনোই পালন করে না। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন– আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির দফতর সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাঈদ খান, সদস্য পারভিন জামান কল্পনা।

এর আগে রবিবার সকালে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে আওয়ামী লীগসহ দলটির অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।