অস্ত্র ঠেকিয়ে তরুণীকে বিয়ে: গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে বিয়ের কাবিননামায় সই করানোর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি জানান, বুধবার রাতে ওই তরুণীর মা অভিযুক্ত তিতাসকে প্রধান আসামি করে নয় জনের নামে মামলা করেন। এ ছাড়া মামলায় আরও ছয়-সাত জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফারুক (৪৩) নামে এ মামলার আট নম্বর আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। ফারুক উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তবে প্রধান আসামি গোলাম দস্তগীর তিতাস (৪৫) এখনও পলাতক।

অভিযোগ উঠেছে, মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় এক তরুণীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিননামায় সই নেন তিতাস।

অভিযুক্ত তিতাস পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি এবং বরিশাল জেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী তরুণী এ বছর স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছেন।

এ ঘটনায় তরুণীর মা গত বুধবার বিকালে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারুক নামে একজন আটক করে পুলিশ। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বুধবার রাতেই থানায় মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় ফারুককে আট নম্বর আসামি করা হয়।

আরও খবর: অস্ত্র ঠেকিয়ে তরুণীকে বিয়ের ঘটনায় যুবক আটক