আখাউড়া স্থলবন্দরে পচে গেলো ২০০ টনের বেশি গম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা ২০০ টনের বেশি গমে পচন ধরেছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্দরে পড়ে থাকায় পচে গেছে এসব গম। এর মধ্যে কিছু গম বাছাই করে নতুন বস্তায় ভরে বন্দর থেকে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন আমদানিকারক।

বুধবার (৮ জুন) বিকাল পর্যন্ত স্থলবন্দরে পড়ে ছিল এসব গমের বস্তা। ভারত থেকে পচা গম আমদানি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তা নাকচ করে দিয়েছেন রফতানিকারকরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশে আসার পর বৃষ্টিতে ভিজে গেছে এসব গম। ওই অবস্থায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্দরে পড়ে থাকায় পচে গেছে।

তবে বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেষের দিকে যে গম ভারত থেকে এসেছে, তা পচা অবস্থায় এসেছে। এসব গম থেকে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে আসামের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গম আসতে দেরি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে গম না আসায় এবং বৃষ্টিতে ভেজায় পচে গেছে।

তিন সপ্তাহ ধরে বন্দরে পড়ে থাকায় পচে গেছে এসব গম

গম আমদানিকারক এস আলম গ্রুপের প্রতিনিধি মো. জিহাদ বলেন, ‘আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি করা ২০০ মেট্রিক টনের বেশি গম রয়েছে। এসব গম মে মাসের মাঝামাঝি আনা হয়েছে। গম আনার পর ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বৃষ্টিতে ভিজে পচে গেছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই এসব গম নিয়ে যাওয়া হবে।’

একই কথা জানিয়েছেন গম আমদানির সঙ্গে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টার‌ন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভিজে কিছু গমে পচন ধরেছে। শিগগিরই গমগুলো নিয়ে যাওয়া হবে। এরই মধ্যে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি।’

তবে আখাউড়া স্থলবন্দরে আসার পর এসব গম বৃষ্টিতে ভিজেনি বলে জানিয়েছেন স্থলবন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আনার আগে হয় তো এমনটি হয়ে থাকতে পারে। তবে আমি যতটুকু জানি, শেষের দিকে আসা গম পচা ছিল। এগুলো বৃষ্টিতে ভিজেনি।’