অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিদ্যুৎকর্মীকে ‘পিটিয়ে হত্যা’

বগুড়ার শিবগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে মারপিটে আবদুল হান্নান (৩২) নামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) এক অফিস সহায়ক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পবিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপকসহ (এজিএম) পাঁচ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ জুন) শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস জানান, শুক্রবার রাতে উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের ভায়েরপুকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার (১১ জুন) সকালে বাবা-ছেলেসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আবদুল হান্নান শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন– উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের বড় বেলঘড়িয়া গ্রামের ইমরান কাজী (৩২), চন্দনপুর গ্রামের আতাউর রহমান (৩০), একই গ্রামের বাবর আলী (৩০), পারমান্দপুর গ্রামের আবু সাইদ (৫০) এবং তার ছেলে সোহেল রানা সবুজ (২৫)।

বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শিবগঞ্জের পিরব উপকেন্দ্রের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রকিবুজ্জামান, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ভায়েরপুকুর বাজার এলাকার গ্রাহক রেজাউল মিটার বাইপাস করে রাতে অবৈধভাবে বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছিলেন বলে অভিযোগ পান তারা। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তারা ছয় জন সেখানে যান। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতি নেন। সে সময় রেজাউলের বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা বাধা দেন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে অভিযুক্তরা তাদের মারপিট করেন। এতে ঘটনাস্থলেই আবদুল হান্নান মারা যান। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে সমিতির পক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রকিবুজ্জামান।

ওসি জানান, পবিসের লোকজন বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে না জানিয়ে রাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান। এ সময় তার পরিবার ও গ্রামবাসীর মারপিটে এক কর্মী মারা গেছেন। এ ছাড়া কয়েকজন আহত হয়েছেন। মৃতের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।