কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু  

শুরু হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে কুসিকের ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এটি নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রথম এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ মেয়র প্রার্থী। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৮ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন ২৭ ওয়ার্ডের ২ লাখ ২৯ হাজার ভোটার।

ভোটের দিন বুধবার (১৫ জুন) সকালে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোট শুরুর আগেই কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন ভোটাররা।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচন যেটিতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথরিয়াপাড়া এলাকার জেএল মেমোরিয়াল কিন্ডার কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রে ১৬৪৩ জন পুরুষ ভোটার রয়েছেন। সকাল ৮টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। তিনি আশা করছেন, এত নিরাপত্তার মাঝে কোনও সমস্যার সৃষ্টি হবে না।

ছবিটি নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথরিয়া পাড়া এলাকার জেএল মেমোরিয়াল কিন্ডার কেন্দ্রেরভোট দিতে আসা সুজানগর এলাকার হাবিব শাত্তী বলেন, ‘আমরা ভোট দিতে এসেছি সাড়ে ৭টার দিকে। সকাল সকাল এসেও ৩০ জনের পেছনে পড়েছি। কেন্দ্রে অনেক পুলিশ আছে, আশা করি ভোট সুষ্ঠুই হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে আমার প্রার্থী জিতবেন।’

সূত্র জানায়, ২০১২ ও ২০১৭ সালের দুই নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) ও কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ প্রতীক)। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন সাক্কু ও কায়সার। অপরদিকে নৌকার প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, কিছু প্রার্থী নির্বাচনে কালো টাকা ছড়াচ্ছেন।