জোড়াগেট পশুহাটে ১৩০০ কেজির ‘ধলা মানিক’

শান্ত স্বভাবের হওয়ায় আদর করে গরুটিকে ‘ধলা মানিক’ বলে ডাকেন মালিক জাহাঙ্গীর। ধলা মানিককে সকাল-বিকালে সাত কেজি করে ১৪ কেজি দানাদার খাবার দিতে হয়। প্রতিদিন ছোলা, গমের ভুসি, খেসারি, জব ও ধানের কুড়া খাওয়ানো হয়। গত বছর তাকে নড়াইলের স্থানীয় একটি হাটে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দামে পড়তা না হওয়ায় গরুটি তিনি বিক্রি করেননি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইল থেকে খুলনার জোড়াগেট পশুর হাটে আনা হয় ধলা মানিককে। ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির বয়স চার বছর। রং সাদা ও কালোর সংমিশ্রণ। উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট এবং লম্বা ৯ ফুট। ওজন এক হাজার ৩০০ কেজি।

জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দুই বছর আগে স্থানীয় একটি বাজার থেকে গরুটি আড়াই লাখ টাকায় কেনেন তিনি। যত্ন-পরিচর্যায় দুই বছরে গুরুটি অনেক বড় হয়েছে। এলাকার ক্রেতারা দাম বলেছেন পাঁচ লাখ টাকা। তাতে রাজি না হয়ে তিনি খুলনার হাটে নিয়ে এসেছেন। এখানে দাম সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তিনি নয় লাখ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করবেন। একজন প্রবাসী গরুটির দাম সাত লাখ টাকা বলেছেন।

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই দিন। ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে খুলনা মহানগরীর জোড়াগেটের পশুরহাট। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৩ জুলাই এ হাটের উদ্বোধন করা হয়। হাট ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে পশু আমদানির সংখ্যা বাড়ছে। পিকআপ, মিনি পিকআপ, ট্রলারযোগে এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ও ছাগল আনা হচ্ছে। ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এবার বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দাম বেশি।

নতুন বাজার এলাকার এস এম সাহিদুল আলম বলেন, ‘সকাল থেকে হাটে ঘুরছি। কিন্তু দামে পড়তা না হওয়ায় গরু কিনতে পারিনি। গত বারের তুলনায় এ বছরে পশুর দাম বেশি।’

ক্রেতা আব্দুর রাহিম বলেন, দু’দিন ধরে পশু কেনার জন্য হাটে ঘুরছেন। কিন্তু হাটে বেশি পশু ছিল না। এখন পশুর সংখ্যা বাড়ছে। গরু বেশি হলে দাম কমবে।’

গরুর বিক্রেতা আব্বাস শেখ বলেন, ‘৫০০ টাকার কুড়োর বস্তা এক হাজার ১০০ টাকায় কিনতে হয়। বেড়েছে খড়ের দাম। মাঠ বন্ধ করে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়ি ঘর। আগের মতো আর ফ্রিতে ঘাস পাওয়া যায় না। দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই বেড়েছে গরুর দাম।’