ভিড় থাকলেও ভোগান্তি নেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফিরছে লাখো মানুষ। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা কর্মজীবী মানুষের ঢল নামে।

সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কোথাও যানবাহনের সারি নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো সরাসরি ফেরিঘাটে আসছে। তবে মানুষের ভিড়ে যানবাহনগুলোর ফেরিতে উঠতে মাঝে মাঝে কিছুটা সময় লাগছে। ফেরিতে ওঠা যানবাহনের মধ্যে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি।

ফেরিঘাট এলাকার যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যবারের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা ছিল অনেকটা স্বস্তির। এর আগে ফেরি পারের অপেক্ষায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। এমনকি অনেক গাড়িকে এক-দুই দিন ঘাটেই যানজটে লাইনে বসে থাকতে হয়েছে। এতে আটকে থাকা মানুষসহ যানবাহনের চালক ও সহকারীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

যশোর থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী কাউসার মাহমুদ বলেন, ‘এমন যাত্রা ইতোপূর্বে কখনও দেখিনি। গত ঈদুল ফিতরের সময় দৌলতদিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু এবার স্বস্তিতে ঈদের আগে বাড়ি ফিরেছি এবং কোনও ভোগান্তি ছাড়াই আবার কর্মস্থলে যাচ্ছি। এবারের যাত্রায় শান্তি পেয়েছি।’

কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেলে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছেন জিন্নাত আলী। তিনি বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কাল থেকে আমার অফিস। সড়ক পুরো ফাঁকাই ছিল। ঘাটে এসে সরাসরি ফেরির পন্টুনে আসতে পেরেছি। যদিও যাত্রীর অনেক চাপ রয়েছে।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) ও আজ ঘাটে লোকাল যাত্রী, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের চাপ রয়েছে। তবে ভোগান্তি ছাড়া সবাই যাতে কর্মস্থলে যেতে পারেন সেদিকে আমরা সব সময় নজরদারি করছি। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ছোট-বড় মিলিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে চার হাজার ৬১৭টি যানবাহন নিয়ে ফেরিগুলো পাটুরিয়া ঘাটে গেছে।’

তিনি জানান, আজ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। বাকি পাঁচটি ফেরি বসিয়ে রাখা হয়েছে। যানবাহনের চাপ আরও বাড়লে সেগুলো চালানো হবে।