দেশে ফেরার ৩ দিন পর প্রবাসী নারীর মরদেহ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে আকলিমা বেগম (২৬) নামে কাতার প্রবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পারভেজ মিয়া পলাতক। সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।

আকলিমা মাধবপাশা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। তার স্বামী পারভেজ চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার চকরা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তাদের চার বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

নিহত আকলিমা বেগমের চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া জানান, আকলিমা ও পারভেজ দুজনেই সৌদি আরবে চাকরি করতেন। সেখানে চাকরির সুবাদে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চার বছর আগে সৌদি আরবে তাদের বিয়ে হয়। পরে সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসেন তারা। কিছু দিন দেশে থাকার পর স্বামী পারভেজকে বাড়িতে রেখে আকলিমা কাতারে চলে যান। সেখানে ১৮ মাস চাকরি করে চলতি মাসের ১৫ জুলাই দেশে ফেরেন তিনি। আকলিমা দেশে আসার পর থেকে কাতার থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চান স্বামীর কাছে। পারভেজ সব টাকা খরচ করে ফেলেছেন বলে আকলিমাকে জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়। রবিবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়।

আকলিমার প্রতিবেশী আলমগীর মিয়া জানান, দুপুরে শ্রীমঙ্গলের বাড়িতে আকলিমার মা সকালে এসে দেখে তাদের ঘরের দরজায় তালা। পরে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখতে পান মেঝেতে আকলিমার লাশ পড়ে আছে। তখন মায়ের চিৎকারে লোকজন জড়ো হন। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়।

পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি, রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মারামারি হয়েছে। নিহত আকলিমার গলায় জমাট রক্তের দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।