মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুলের সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগে টাকা নেওয়ার অভিযোগে মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নির্বাহী পরিচালক আবদুল মান্নান সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিন হাসানের আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বেলাল হোসেন এ মামলা করেন।

মামলা সূত্র জানায়, আবদুল মান্নান সরকার বগুড়ার ফুলতলা এলাকায় জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির (নট্রামস) সাবেক পরিচালক। পরবর্তী সময়ে এ প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হয়, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার)। তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার গোকুলের রামশহর গ্রামে। তিনি শহরের মালতিনগরের বাড়িতে বসবাস করেন। মান্নান সরকার বগুড়ার প্রতিটি উপজেলায় স্থাপিত মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের নামে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। বেলাল হোসেন নামে এক শিক্ষক গত ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করেন।

এজাহারে বেলাল অভিযোগ করেন, কলেজ ট্রাস্টের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আবদুল মান্নান সরকার বগুড়া সদরের মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার নামে তিন লাখ টাকা নেন। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চেয়েও ব্যর্থ হন শিক্ষক বেলাল। বাধ্য হয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নেন। বেশ কয়েক বছর আগে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে আবদুল মান্নান সরকারকে নট্রামসের পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। প্রতারণার মামলা হলে তিনি গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রাশেদুল আলম সবুজ জানান, বিবাদী আবদুল মান্নান সরকার দুবার জামিন লাভ করেন। সম্প্রতি তার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ১১ আগস্ট সময় প্রার্থনা করলে আদালত তা নামঞ্জুর এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।