চট্টগ্রামে জাতীয় শোক দিবসে নানা আয়োজন

চট্টগ্রামে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করছে।

শোকাবহ এ দিনটিকে ঘিরে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। সকাল ৯টায় দারুল ফজল মার্কেট মসজিদে খতমে কোরআন, দোয়া-মাহফিল শেষে বেলা ১১টায় গরিব, অনাথ ও দুস্থসহ বিভিন্ন এতিমখানা, হেফজখানা ও উপসনালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রায় ৬ হাজার খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

এদিকে, ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চসিক প্রধান, আঞ্চলিক, ওয়ার্ড কার্যালয়সহ চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোতে জাতীয় পতাকা ও চসিকের পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। এ ছাড়া সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। টাইগারপাস এলাকায় অস্থায়ী ভবনের সম্মেলন কক্ষে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত করা হয়। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালে দিনব্যাপী ফ্রি-স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

দুপুরে নগরীর নন্দনকানন থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত তখনই স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মধ্য দিয়ে তারা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে ফেলাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ঘাতক চক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি।’

অপরদিকে দিনটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, নৌ পুলিশ, পরিবেশ অধিদফতর, সিভিল সার্জন কার্যালয়, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করছে।