সাংবাদিকের ওপর আইনজীবীদের হামলার ঘটনায় মামলা

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে দুই টিভি সাংবাদিকের ওপর কয়েকজন আইনজীবীর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হামলায় আহত সাংবাদিক আল আমিন সিকদার বাদী হয়ে বুধবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে কোতয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

আরও খবর: আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকের ওপর আইনজীবীদের হামলা

মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। নাম উল্লেখ করা দুজন হলেন– সাহেদুল হক (৩৫) ও ইসহাক আহমেদ (৩০)।

হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বুধবার সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভা করে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন। এ সভা থেকে হামলায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে সাংবাদিক ইউনিয়ন।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যমুনা টেলিভিশনের দুই সাংবাদিকের ওপর আদালত ভবনে হামলার ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যক্কারজনক এ হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সাংবাদিকের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া আইনজীবীদের সনদ বাতিল ও শাস্তির দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন– যমুনা টেলিভিশনের চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ রিপোর্টার আল আমিন সিকদার এবং ক্যামেরাপারসন আসাদুজ্জামান লিমন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণের প্রবেশপথে এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনজীবী সমিতির অফিসে নিয়েও তাদের লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে যুমনা টেলিভিশন চট্টগ্রাম অফিসের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আরিফুর রহমান সবুজ দাবি করেন, ‘সংবাদ সংগ্রহের জন্য স্টাফ রিপোর্টার আল আমিন ও ক্যামেরাপারসন আসাদুজ্জামান লিমন চট্টগ্রাম আদালত ভবনে যান। আদালত প্রাঙ্গণে ওঠার সময় গাড়ির হর্ন বাজালে কয়েকজন আইনজীবী এগিয়ে এসে হর্ন বাজানোর কারণ জানতে চান। এ নিয়ে সাংবাদিক আল আমিনের সঙ্গে আইনজীবীদের বাগবিতণ্ডা হয়। সেখানেই তাকে মারধরের পাশাপাশি লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও করেন ক্যামেরাপারসন আসাদুজ্জামান লিমন। ভিডিও করার কারণে তাকেও মারধর করা হয়। পরে দুজনকেই সমিতির অফিসে নিয়ে পুনরায় মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন দাবি করেন, ‘সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা লজ্জিত। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত আছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’

কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’