রাতারাতি দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি গোচারণভূমি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সরকারি গোচারণভূমি দখল করে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন তৎপর না হওয়ায় রাতারাতি অবৈধভাবে দখল হচ্ছে সরকারি জমি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের সাফলীডাঙ্গা সরকারি পুকুর এলাকায় রামদিয়া-গোপালপুর সড়কের পাশে সরকারি গোচারণভূমির জায়গা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী আলমগীর মোল্লা ও ছবা শরিফ নামে দুই ব্যক্তি দোকানঘর নির্মাণ করছেন। এতে সরকারি সম্পত্তি বেহাত হচ্ছে। এলাকার লোকজন ওই জমিতে যুগ যুগ ধরে গরু-ছাগল চরিয়ে আসছেন, কিন্তু বেদখল হয়ে যাওয়ায় তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার স্থানীয়রা জানান, ছবা শরিফ এর আগেও সরকারি জমি দখল করে সেখানে ঘর তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি সরকারি জমি দখল করে রমরমা ব্যবসা শুরু করেছেন। হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছবা শরিফের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি সরকারি জমিতে ঘর তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সরকারের যখন জায়গা লাগবে তখন আমি ছেড়ে দেবো।’

ফুকরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ ইশতিয়াক পটু বলেন, ‘তারা (জমি দখলকারীরা) আমার কথা শুনছেন না। আমি নিষেধ করার পরেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ফুকরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শংকর কুমার বাড়ৈ বলেন, ‘অফিস থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জমি পরিমাপ করে অবৈধ  ঘর ভেঙে দেওয়া হবে।’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন,  ‘এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখার জন্য ফুকরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’