নারায়ণগঞ্জে কিশোরকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কিশোর তুহিনকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে চাঁদপুরের সদর থানাধীন রঘুনাথপুর ভাঙ্গাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন– চাঁদপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ভাঙাপুর এলাকার মো. মোস্তফার দুই ছেলে মো. রনি (২০) ও আল আমিন (২৫); একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. মোস্তফা (৫৫)।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ২৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও পিরোজপুর এলাকার তুহিনকে পিটিয়ে ও শাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মো. মনির (৩৯) বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মাদকের চালান দেখে ফেলায় তার ছেলেকে পিটিয়ে ও শাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে র‌্যাব-১১ ছায়াতদন্ত শুরু করে। শুক্রবার দিবাগত রাতে চাঁদপুর সদর থানাধীন রঘুনাথপুর ভাঙ্গাপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত তুহিন চেঙ্গাকান্দি গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। সে ঝাউচর এলাকায় তার মামা নুরুল হুদার বাড়িতে থেকে তার আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করতো। একই এলাকায় পার্শ্ববর্তী হিরাঝিল হোটেলে রনি ও আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিল এবং ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলেন। তারা ২২ আগস্ট ফেনসিডিলের কার্টন হোটেলের পাশের কক্ষে নিয়ে যাওয়ার সময় তুহিন দেখে ফেলে এবং তা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবে বলে জানায়। এর ফলে তারা তুহিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং মাদকের বিষয়ে কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দেন। ২৩ আগস্ট তুহিন রাতের খাবার খেয়ে দোকানে ঘুমাতে যায়। পরদিন ২৪ আগস্ট দোকান খোলার পর তুহিনের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা তাদের হোটেল বন্ধ করে পালিয়ে যান।