কুয়েটের সহকারী রেজিস্ট্রার পৌনে ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ

কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে বিতর্কের পর রবিবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি দোলন পৌনে ২ ঘণ্টা নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ ছিলেন। কুয়েটের সেকশন অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস দোলা তাকে কক্ষের মধ্যে অবরুদ্ধ করেন।

এ বিষয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার জানান, তাকে বরাদ্দ দেওয়া কক্ষটি পেতে তৎপর ছিলেন সেকশন অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস দোলা। তিনি কক্ষটি বরাদ্দ না পেয়ে রবিবার সকালে কক্ষে এসে তাকে বের হতে বলেন। কিন্তু তিনি বের না হওয়ায় সকাল সোয়া ৯টার দিকে দোলা তাকে কক্ষে রেখেই বাইরে থেকে ছিটকিনি দেন। এতে তিনি নিজ কক্ষেই অবরুদ্ধ হন। বেলা ১১টার দিকে তাকে রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে মুক্ত করা হয়।

সেকশন অফিসার জানান, সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের সিদ্ধান্ত ছিল তাকে ওই কক্ষটি দেওয়ার। কিন্তু তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় কক্ষটি নিতে পারেননি। এ অবস্থায় তার জন্য বরাদ্দ হওয়া কক্ষটি সহকারী রেজিস্ট্রারকে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘গত ৬ সেপ্টেম্বর মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত যাই। শুক্রবার ফিরে আসি। রবিবার সকালে অফিসে গিয়ে দেখি ওই কক্ষে সহকারী রেজিস্ট্রার দোলন কাকু বসা। তাকে কক্ষ থেকে বের হতে বলি। উদ্দেশ্য ছিল, তাকে নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা। কিন্তু তিনি বের না হওয়ায় আমি রেগে তাকে কক্ষে রেখেই বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে দিই। তিনি সেখানে ১০-১৫ মিনিট ওইভাবে ছিলেন।’

কুয়েটের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য শাখা) মনোজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমরা বিব্রত। এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা প্রশাসনিকভাবে কী করা যায় সেটা দেখছি। ঘটনাটি শোনার পর উপাচার্যের নির্দেশনা পেয়ে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একজন স্টাফ বেলা ১১টার দিকে সহকারী রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি দোলনের কক্ষের ছিটকিনি খুলে দেন।’