‘কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছ কমেছে ৮০ ভাগ’

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মৎস্য দিবস পালন করা হয়েছে। সোমবার সকালে ক্যাম্পাসে ফিশারিজ ও মেরিন টেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করার পর সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দিনটি উপলক্ষে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যালিআলোচনা সভায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অঞ্জন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও মেরিন টেকনোলজি বিভাগের ফিশারিজ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইদুল আলম ও মোহাম্মদ শহীদুল ইমলাম সিকদার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারি বিভাগে পড়ছেন তারা ভাগ্যবান। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে কাপ্তাই হ্রদ। এখানে মিঠা পানির মাছ রয়েছে। যার দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বর্জ্য পড়ে লেকের অবস্থা খারাপ। একসময় বড় বড় কার্পজাতীয় মাছ পাওয়া যেত, এখন আর পাওয়া যায় না। কেন পাওয়া যায় সেটা নিয়ে বিষদ আকারে গবেষণা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, মশারি জাল ব্যবহার করার কারণে লেকের অবস্থা খুবই খারাপ। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী কয়েক বছরে মাছশূন্য হতে পারে এই হ্রদ। একবারে সব ধরে ফেলছি আমরা।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও মেরিন টেকনোলজি বিভাগের ফিশারিজ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদে আগে যে পরিমাণ কার্পজাতীয় মাছ পাওয়া যেত তা এখন আর পাওয়া যায় না। এ জাতীয় মাছের আহরণ কমেছে ৮০ ভাগ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৭৮৩ টন শুঁটকি মাছ উৎপাদন হলেও বর্তমানে কমে ৩৩৯ টনে দাঁড়িয়েছে। বাজারে বিদেশি মাছে আধিক্য বাড়ছে। এ রকম চলতে থাকলে একদিন কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।’