শিশু আয়াতের মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার

চট্টগ্রামে হত্যার শিকার শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের (৫) মরদেহের আরও একটি খণ্ডিত অংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়কের বঙ্গোপসাগর পাড়ে স্লুইসগেট সংলগ্ন নালা থেকে সেটি উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই ইন্সপেক্টর ইলিয়াছ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইপিজেড থানাধীন স্লুইসগেট সংলগ্ন নালায় আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে মাথার খণ্ডিত একটি অংশ পাওয়া গেছে। আগের দিন বুধবার পায়ের দুটি অংশ উদ্ধার করা হয়।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার দে বলেন, ‘পিবিআইয়ের একটি টিম সকাল থেকে লাশের বাকি অংশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। অভিযানের একপর্যায়ে মাথার অংশ উদ্ধার হয়েছে।’

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। গত ১৫ নভেম্বর আরবি পড়তে যাওয়ার সময় বন্দরটিলা নয়াহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার মসজিদের পাশ থেকে আয়াতকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে আবির। পরে লাশ আকমল আলী সড়কের নিজ বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। লাশের টুকরো দুটি বস্তায় করে ইপিজেড বেড়িবাঁধ এলাকায় বঙ্গোপসাগর ও স্লুইসগেট এলাকায় ফেলে দেয়।

ঘটনার দিন আয়াতকে না পেয়ে তার বাবা ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ছায়া তদন্ত করে পিবিআই। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আবিরকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার রাতে আয়াতের বাবা সোহেল রানা বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আবিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। আবির রংপুরের তারাগঞ্জ এলাকার আজমল আলীর ছেলে। আয়াত ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়াহাট এলাকার শাহেদা ইসলাম তামান্না ও সোহেল রানা দম্পতির একমাত্র মেয়ে।

গত সোমবার আবীর আলীকে দ্বিতীয় দফায় আরও সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পিবিআই। এর আগে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশ কোথায় ফেলেছে তা নিজেই গিয়ে দেখিয়ে দেয় আবির। পরে খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে তল্লাশি শুরু করে পিবিআই। এ ঘটনায় আবির আলী ছাড়াও তার বাবা-মা ও ছোট বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।