ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার

নরসিংদীর রায়পুরার মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাফর ইকবাল মানিককে (৪৫) হত্যার ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি আবদুল্লাহকে (১৯) গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আব্দুল্লাহ উপজেলার মির্জারচর গ্রামের আবু ছিদ্দিকের ছেলে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, শনিবার গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান মানিককে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দুই দিন পর সোমবার মানিকের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহরম আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মহরম এই হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।    

উল্লেখ্য, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নদীভাঙন বিষয়ক এক সভায় অংশ নেন চেয়ারম্যান মানিক। ওই সভা শেষে বের হলে দুই যুবক তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মানিক মির্জারচরের মৃত আব্দুল মোতালেব মিয়ার ছেলে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাচর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন ফিরোজ মিয়া। তার সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন জাফর ইকবাল মানিক। এরই জেরে দু পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে এলাকাছাড়া ছিলেন ফিরোজ সমর্থকরা। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুটি পক্ষ সমাধানের জন্য বৈঠকে বসে। কিন্তু সমঝোতা না মেনে সভা থেকে উঠে যান ফিরোজের সমর্থকরা। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিরোধের জেরেই মানিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ওই ইউনিয়ন থেকে একাধিকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।