শিশু মাইশার মৃত্যু: অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ

হাতের আঙুল অপারেশনে গিয়ে কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশার (৫) মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং এলাকাবাসী। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে একাধিক মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ এবং মাইশার বাবা মোজাফফর হোসেন, মা বেলী বেগমসহ এলাকাবাসী বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে জানানো হয়, মাইশার নানা মরহুম ওসমান গনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়েও মাইশা চিকিৎসকদের নিষ্ঠুর অবহেলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে।

বক্তারা শিশু মাইশার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে অপারেশনে জড়িত চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করেন। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘এভাবে আর কোনও মায়ের বুক যেন খালি না হয়। কোনও অবুঝ প্রাণ যেন এভাবে ঝরে না পড়ে।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে হাতের আঙুলের অপারেশন করার সময় কুড়িগ্রামের শিশু মাইশার মৃত্যু হয়। পরে সেদিনই শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন তার বাবা-মা। দাফনের আগে শিশু মাইশার গোসল করানো নারীরা দেখতে পান, মাইশার নাভির নিচে পেট জুড়ে কেটে সেলাই করা। এ ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়। শিশুটির পরিবারের দাবি, হাতের অপারেশন করার সময় তাদের মেয়ের পেট কেন কাটা হয়েছে তা তারা জানেন না। এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায় শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী।

এদিকে মাইশার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. আহসান হাবীব, অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম ও অ্যানেস্থেসিস্ট ডা. রনির নাম উল্লেখ করে হাসপাতালের অজ্ঞাত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার রূপনগর থানায় মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৃত মাইশার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।