চরের মানুষের জন্য পুলিশের ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’

কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত চরের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষিত মানুষের অবসর যাপন ও জ্ঞানার্জনের সুযোগ দিতে ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’ নামে খুদে লাইব্রেরির কার্যক্রম চালু করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জেলার নদ-নদী অববাহিকার পাঁচটি পয়েন্টে এই লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জেলার ঢুষমারা থানার অধিক্ষেত্র, রাজিবপুরের মোহনগঞ্জের প্রত্যন্ত চরে, চিলমারী উপজেলার রমনা ঘাটে, কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর চরের ঘাটে এবং উলিপুর উপজেলার নামাজের চরে লিটল ফ্রি লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ জানায়, চরাঞ্চলের জ্ঞান পিপাসুদের জন্য লিটল ফ্রি লাইব্রেরি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের একটি উদ্ভাবনী প্রয়াস। কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চরে নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অদম্য ইচ্ছা যাতে আরও সুপ্রশস্থ হয় সে লক্ষ্যে এ আয়োজন। চরাঞ্চলের বিভিন্ন চায়ের দোকান, যেখানে মানুষের আড্ডা হয়, সেসব দোকানে এসব লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে চর এলাকার বাসিন্দারা বই পড়ার পাশাপাশি বই এন্ট্রি করে বাড়িতেও নিয়ে যেতে পারবেন। এর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন সংশ্লিষ্ট চায়ের দোকানদার।

পাঠমগ্ন প্রবীণ পাঠকরাপুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন,  ‘আমরা চাই কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চরের সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ চায়ের দোকানে বসে শুধু আষাঢ়ে গল্প না করে বই পড়ে মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধ, অতুলনীয় নেতৃত্ব এবং ভবিষ্যৎমুখী উন্নয়ন প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানুন। লিটল ফ্রি লাইব্রেরিতে প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু, সাত বীরশ্রেষ্ঠসহ ইতিহাস, সমাজ, জীবননির্ভর ও ভবিষ্যৎমুখী বই স্থান পেয়েছে। ভবিষ্যতে এর কলেবর আরও বাড়বে।’

‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি আমাদের ধারাবাহিক পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ। এটি টেকসই নিরাপত্তা, সমাজে সহনশীল শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সুদৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি’, যোগ করেন পুলিশ সুপার।