৯ সোনার দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে নয়টি সোনার দোকানসহ ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও বাজারের তরকারি পট্টিতে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকানগুলোর তালা ভেঙে কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হা-পা বেঁধে ডাকাত দল স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, বুধবার গভীর রাতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারের উৎসব গহনালয়, শ্রী দুর্গা গহনালয়, মা সৌভাগ্য স্বর্ণ শিল্পালয়, বৃষ্টি স্বর্ণ শিল্পালয়, বাবা লোকনাথ স্বর্ণ শিল্পালয়, মিতু স্বর্ণ শিল্পালয়, প্রিয়াংকা গহনালয়, বিশ্বাস স্বর্ণ শিল্পালয়, সিথি গহনালয়, বিসমিল্লাহ ফার্মেসি ও কালাম স্টোরে ডাকাত দল হানা দিয়ে স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা লুটে নেয়।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাজারের বৃষ্টি স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক বিমল মণ্ডল জানান, গভীর রাতে তার দোকানের তালা ভেঙে ডাকাত দল দোকানে প্রবেশ করে। এ সময় তার দোকানে থাকা দুই ভরি স্বর্ণালংকার, চল্লিশ ভরি রুপা এবং নগদ বিশ হাজার টাকা লুটে নেয় ডাকতরা।

প্রিয়াংকা গহনালয় স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক শিবু দাস বলেন, ‘গভীর রাতে ডাকাত দল বাজারের তিন জন পাহারাদারকে বেঁধে রাখে। পরে আমার দোকানসহ নয়টি দোকানে তালা ভেঙে কারিগরদের অস্ত্র ঠেকিয়ে সোনাসহ নগদ টাকা লুটে নেয়। আমার দোকান থেকে পাঁচ ভরি সোনা, ৩৫ ভরি রুপা এবং নগদ দুই লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ডাকাত দল।’

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ স্বর্ণ শিল্পালয় সংগঠনের সভাপতি অজয় কর্মকার (পুটু) জানান, এ রকম ঘটনা অহরহ হচ্ছে। কিছুদিন পরপর সোনার দোকানগুলোকেই টার্গেট করে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ঘটনার পর কয়েকজন আটক হলেও আমরা খোয়া যাওয়া সোনা-টাকা ফিরে পাই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি, দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা নিরাপত্তা চাই।’

টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান বলেন, ‘বাজারের খাল দিয়ে গভীর রাতে একটি ট্রলারে ডাকাত দল বাজারে প্রবেশ করে। এ ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামালের পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ প্রশাসন) সুমন দেব জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।