দুই বাসের সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ৩ জন

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার দোয়ালীপাড়া এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ হাসান চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন তারাগহ্জ থানার ওসি মাহবুব মোরশেদ। তারা হলেন– তৃপ্তি পরিবহন নামে বাসের হেলপার আবুল কালাম এবং সহকারী হেলপার মোসলেম উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস রংপুরে আসছিল। বাসটি তারাগঞ্জ উপজেলার দোয়ালীপাড়ায় পৌঁছালে রংপুর থেকে দিনাজপুরগামী অপর একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে ১০ আহত যাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

দুর্ঘটনাকবলিত বাস রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ হাসান চৌধুরী জানান, প্রচণ্ড কুয়াশা সড়ক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় বাস দুটি একে অপরকে দেখতে পারেনি। অন্যদিকে, দুটি বাসই ঘন কুয়াশার মধ্যেই দ্রুত বেগে বাস চালাচ্ছিল চালকরা।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দপুরের যাত্রী আশরাফ আলী জানান, তৃপ্তি পরিবহন বাসটি সৈয়দপুর থেকে ছাড়ার সময় তিনিসহ অনেক যাত্রী চালককে ঘন কুয়াশার কারণে ধীরে চালাতে বলেছিলেন। চালক তাদের কথা শোনেনি।

একই কথা জানান আহত যাত্রী রংপুরের বুড়িরহাটের সাহাবুল। তিনিও বলেন, চালক ঘন কুয়াশার মধ্যে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাফিউল ইসলাম জানান আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

তারাগঞ্জ থানার ওসি মাহবুব মোরশেদ জানান, দুর্ঘটনার পর দুটি বাসই জব্দ করেছে পুলিশ। তবে চালক ও হেলপারকে আটক করতে পারেনি।