ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। রবিবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তারা সড়ক থেকে সরে যান। কালিয়াকৈরের শিল্প পুলিশের পরিদর্শক নিতাই চন্দ্র সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে চন্দ্রা এলাকায় ট্রাকচাপায় একটি পোশাক কারখানার নিরাপত্তাকর্মী নিহতের ঘটনায় শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তারা ওই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন এবং ৩০-৪০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন।

পরিদর্শক নিতাই জানান, শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী দুর্ঘটনাস্থলে একটি ফুটওভারব্রিজ স্থাপন করে দেওয়া হবে। তাদের দাবি মানার প্রতিশ্রুতিতে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে এই প্রতিশ্রুতি পূরণের নিশ্চয়তা দেন। এরপর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

নিহত নিরাপত্তা কর্মীর নাম আজাদুল হক (৩৫)। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আমগাঁও গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে। তিনি মহাসড়কে ‘মাহমুদ জিন্স’ নামে ওই কারখানার শ্রমিক পারাপারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। 

কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ আবু তাহের ফারুকী জানান, সকালে শ্রমিকরা মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। আজাদুল সিগন্যাল দিয়ে যানবাহন থামাচ্ছিলেন। সে সময় কয়েকটি যানবাহন থামলেও ওই ট্রাকটি সিগন্যাল না মেনে তার ওপর দিলে চলে যায়। এতে মাথা থেঁতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই আজাদুল নিহত হন। চালক ট্রাক রেখে পালিয়ে গেলে শ্রমিকরা ওই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পাশের নূর গ্রুপের শ্রমিকরা মাহমুদ জিন্স পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে মিলে প্রায় দশ হাজার শ্রমিক লাশ নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে অবস্থান নেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ৩০-৪০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন।