‘নেত্রীকে এক পলক দেখতে রাজশাহী এসেছি’

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় আসার জন্য বিশেষ ট্রেনে যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। ট্রেনে করে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে (বর্তমান হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) ছুটে এসেছেন নেতাকর্মীরা। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় ছাদে চেপেও এসেছেন বহু মানুষ।

আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাটোর থেকে বিশেষ ট্রেনে রাজশাহী সমাবেশ এসেছেন নেতাকর্মীরা। ট্রেনের ভেতরের আসন পরিপূর্ণ হওয়ায় নেতাকর্মীরা উঠেছেন ছাদেও। ইঞ্জিনের সামনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাদের। এ যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার প্রতিচ্ছবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে নেতাকর্মীরা ট্রেনে চেপে, ঝুলে ও দাঁড়িয়ে জনসভায় এসেছেন।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ ট্রেনটি নলডাঙ্গা মাধনগর, নলডাঙ্গা স্টেশন হয়ে নাটোর রেলস্টেশনে এসে থামে। প্রায় ৫ মিনিট স্টেশনে ট্রেনটি অবস্থান করে। এ সময় স্টেশনে অপেক্ষায় থাকা শত শত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ট্রেন থামলে উঠতে শুরু করেন। বিশেষ ট্রেনটি দেখার জন্য বহু উৎসুক মানুষও অপেক্ষা করছিলেন স্টেশনে।

জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে জনসভাস্থলআব্দুল গণি মিয়া নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, ‘আমাদের প্রাণের নেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসছেন। নেত্রীকে এক পলক দেখতে রাজশাহীতে এসেছি। তাকে সরাসরি দেখার জন্য জীবনের ঝঁুকি নিয়ে নাটোর থেকে ছুটে এসেছি।’

আতাউর রহমান নামে এক কর্মী বলেন, ‘ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়, পা ফেলার জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে এসেছি। নেত্রীকে একবার দেখার পর সব কষ্ট আর ক্লান্তি চলে যাবে।’

শফিকুল ইসলাম নামে এক যুবলীগ কর্মী বলেন, ‘অনেক আনন্দ লাগছে সব নেতাকর্মী একসঙ্গে এসেছি। আমরা আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে নিরলস কাজ করবো।’

নলডাঙ্গা থেকে আসা ৮০ বছরে বৃদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মী লিয়াকত প্রামাণিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা সফল করতে আমরা নেতাকর্মী সবাই একত্রে ট্রেনে এসেছি। জীবনে প্রথমবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দেখবো। কাছ থেকে তার ভাষণ শুনবো। কখনও সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দেখা হয়নি। আজ নিজ চোখে নেত্রীকে এক পলক দেখবো।’

নাটোর রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার কামরুন নাহার বলেন, ‘সাধারণত ঈদে প্রচুর যাত্রীর চাপ সামলাতে হয়। অনেক সময় শৃঙ্খলা থাকে না। এবার চাপ একইরকম হলেও শৃঙ্খলা রয়েছে। তবে অনেক যাত্রী ছাদে উঠে গেছেন। আমরা এমন বিপজ্জনক যাত্রার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করলেও তারা শুনছেন না।’

তিনি আরও জানান, রেল কর্তৃপক্ষ এক লাখ ২৪ হাজার ৩২৪ টাকায় একটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দিয়েছে। আজ ঢাকা-রাজশাহী চলাচলকারী আন্তনগর সিল্কসিটি ট্রেনটি সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় ওই ট্রেন বিশেষ ট্রেন হিসেবে চলাচল করছে। ট্রেনটি চলাচলে অন্য ট্রেনের সময়সূচিতে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। বিশেষ ট্রেনটির রাজশাহী থেকে বিকাল সাড়ে ৫টায় ফেরার কথা রয়েছে।’