মাদকসেবীর মারপিটে পুলিশ সদস্য নিহত

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামে এক নৌ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলি নৌ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পুলক দাশকে (২৮) আটক করেছে। সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আটক পুলক দাশ নবীগঞ্জ উপজেলার কাদিরগঞ্জ গ্রামের ক্ষীরমোহন দাশের ছেলে।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে স্থানীয় মার্কুলী বাজারে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পুলকের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলক উত্তেজিত হয়ে মাথায় আঘাত করলে জাহাঙ্গীর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রাতেই পুলককে আটক করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এবং ওসি অজয় কুমার দেবসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই হত্যাকারী পুলক দাশকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, পুলক ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে এলোপাতাড়ি মারপিট করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পুলক মাদকাসক্ত। তাদের ধারণা, মাদক সেবনে নিষেধ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নৌ পুলিশে চাকরি করার সুবাদে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমের। ঘটনার আগের দিন ওই এলাকায় পুলক দাশকে গাঁজা সেবন করতে দেখেন জাহাঙ্গীর। তিনি তাকে গাঁজা সেবন না করার উপদেশ দিয়ে শাসন করেন। এ শাসনের কারণে ক্ষোভ থেকেই কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে পুলক হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।