স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেফতার

চট্টগ্রামে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম রবিন চৌধুরী। সে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার রাতে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। শনিবার রাতে ওই নারীর স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই ধর্ষণ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহার পেয়ে আমরা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এজাহারে আরও দুজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার নারী নগরীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। শনিবার রাত ১০টার দিকে কারখানার উদ্দেশে স্বামীর সঙ্গে বের হন তিনি। তারা কেশবপুর এলাকায় পৌঁছালে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিন ও তার দুজন সহযোগী তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তারা জোর করে নারী শ্রমিক ও তার স্বামীকে ধরে ইউপি সদস্যের একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে মারধরের পাশাপাশি তার টাকা, মোবাইল ফোন, অলংকার ছিনিয়ে নেয়। তাকে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি বেঁধে রেখে তার সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার নারী কৌশলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে তাদের উদ্ধারে পুলিশের সহায়তা চান।

সীতাকুণ্ড থানার এস আই  হারুনুর রশিদ বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করি। পরে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।’