চিরনিদ্রায় শায়িত এমপি মোছলেম উদ্দিন

চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে নগরের গরীবুল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজার মাঠে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় তার মরদেহ জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেওয়া হয়।

এর আগে তার প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বিকাল পৌনে ৫টায় নিজ সংসদীয় এলাকা বোয়ালখালীর গোমদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মরদেহ নগরের আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আজ মঙ্গলবার জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠের জানাজায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

এর আগে গত রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ৪৭ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোছলেম উদ্দিন মারা যান। তিনি গত দুই বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুর পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি শূন্য আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। পরে চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

মৃত্যুকালে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ স্ত্রী ও চার মেয়ে, এক ভাইসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।