খেলতে যাওয়ার পর টয়লেটের কূপে মিললো শিশুর লাশ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মুনিম হোসেন নামে চার বছরের এক শিশুকে হত্যার পর টয়লেটের কূপে লাশ গুমের অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ বুধবার বিকালে লাশটি উদ্ধার করে। বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর লাশটি পাওয়া যায়।

শিশু মুনিম নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের বাসিন্দা। সে ভেবরকুড়ি মীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস আলীর ছেলে।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মাথার পেছনে ও কপালে আঘাতে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটি পারিবারিক কোনও বিরোধের বলি হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিশু মুনিম বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির বাইরে খেলাধুলা করতে যায়। কিছুক্ষণ পর মা মনোয়ারা বেগম সকালের খাবারের জন্য মুনিমকে ডাকতে গিয়ে তাকে পাননি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিবেশী জাহিদুলের বাড়ির পাশে বাঁশঝাঁড়ে খোঁজ করতে যান। সেখানে টয়লেটের ক‚পের ঢাকনা সরানো দেখে তাদের সন্দেহ হয়। বড় বোন তাবাসসুম ক‚পের মধ্যে মুনিমের মাথা নিচের দিকে এবং পা উপরে দেখে চিৎকার দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিকালে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।

থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন জানান, নিহত শিশুর শরীরের অনেক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যার পর টয়লেটের ভরা ক‚য়ায় লাশ রেখে পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। ওসি জানান, শিশুটির মাথার পেছনে ও কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।