চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়ে নিখোঁজ তিন জনের সন্ধান এখনও মেলেনি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়ে নিখোঁজ তিন জনের এখনও সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং দুজন নারী। পুলিশ বলছে, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শিব চতুর্দশী মেলা শুক্রবার শুরুর পর থেকে সীতাকুণ্ড থানায় চারটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার চন্দ্রনাথ পাহাড়ের নিচ থেকে আশুতোষ নাথ নামে নিখোঁজ এক ডেকোরেটর কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি তিনজনের সন্ধানে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত কয়েকদিনে চারটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। এরমধ্যে আশুতোষের মরদেহ মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধান চলছে।’

ওসি বলেন, নিখোঁজদের মধ্যে একজনের নাম কানাই লাল সরকার (৭০)। তার বাড়ি নেত্রকোণায়। তিনি তীর্থযাত্রী হিসেবে চন্দ্রনাথের মেলায় ১৭ ফেব্রুয়ারি আসেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার মোবাইল ফোনটি খোলা ছিল। মোবাইল ফোনের কললিস্টে তার সর্বশেষ অবস্থান চন্দ্রনাথ পাহাড়ে দেখা গেছে। স্বজনরা তার সন্ধান চেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। আমরা তার সন্ধানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নিখোঁজ অপর দুই নারীর সন্ধানেও আমরা চেষ্টা করছি।’   

শিবচতুর্দশী মেলা আয়োজন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেলায় আসা দুজন পূণ্যার্থী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্বজনরা। এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ অন্যজন ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ। তার সন্ধান চেয়ে বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছেন স্বজনরা। আমরাও মেলা কমিটির পক্ষ থেকে ফেসবুকে তার সন্ধান চেয়ে পোস্ট দিয়েছি। তার খোঁজ এখনও মেলেনি।’

মেলা আয়োজক কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক স্বপন কুমার নাথ বলেন, ‘শিবচতুর্দশী মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক লাখ পুণ্যার্থী আসেন চন্দ্রনাথ ধামে। আশুতোষও এসেছিলেন। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে চন্দ্রনাথ ধাম থেকে নামার পথে সিঁড়ি ভেঙে দুজন নিচে পড়ে যান বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আশুতোষ। হয়তো সিঁড়ি ভেঙে খাদে পড়ে তিনি মারা গেছেন।’

উল্লেখ্য, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধামে গত শুক্রবার থেকে তিন দিনের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শিবচতুর্দশী মেলা শুরু হয়। প্রতি বছর এই মেলা তিন দিনের হলেও এবার তিথির কারণে হয়েছে চার দিন। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক লাখ পূণ্যার্থীর সমাগম হয়।