মাছধরা ট্রলারে জলদস্যুদের হামলা

উদ্ধার চার জেলের মধ্যে একজনের মৃত্যু, গ্রেফতার ৪

বঙ্গোপসাগরের বরগুনার পাথরঘাটার বয়া এলাকায় শিপিং ট্রলারে জলদস্যুদের হামলায় উদ্ধার জেলেদের মধ্যে আব্দুল হাই (৩৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। 

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার আলী আহম্মেদের ছেলে কাইছার ওরফে কালু (২৫), একই উপজেলার পূর্ব বড়ঘোনা এলাকার মৃত আহম্মেদ সাবার ছেলে জাহিদ (২৫), পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার মৃত আলী চানের ছেলে সেলিম (৪০) ও সেলিমের ছেলে ইকবাল হোসেন (১৫)। 

বুধবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম। তাদের কাছ থেকে চারটি অস্ত্র, গোলাবারুদ, দুটি হাতুড়ি, তিনটি দা, একটি কিরিচ, দুটি শাবল, জাল এবং বোট জব্দ করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বরগুনা জেলার ১৮ জেলে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার পথে ২৫-৩০ জন জলদস্যু তাদের ওপর হামলা করে। ১৮ জেলেকে কুপিয়ে জখম করে তারা। জলদস্যুদের থেকে বাঁচতে নয় জেলে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখোঁজ হন। অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা জলদস্যুদের হামলায় আহত নয় জেলেকে উদ্ধার করে শনিবার সন্ধ্যায় পাথরঘাটায় নিয়ে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এদের মধ্যে আহত দুজনকে শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, নিখোঁজ নয় জেলের মধ্যে চার জনকে সোমবার অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা সাগর থেকে উদ্ধার করে। তাদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে ওইদিন সন্ধ্যায় আব্দুল হাই নামের একজনের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা বাঁশখালী এলাকায় অবস্থান করছে বলে জেনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান,  গত ১০ ফেব্রুয়ারি তারা বোট নিয়ে সমুদ্রে ডাকাতির উদ্দেশ্যে যান। তারা কক্সবাজার কুতুবদিয়া চ্যানেল এলাকায় একটি ট্রলারে ডাকাতি করেন। পরে বরগুনা-পটুয়াখালী চ্যানেলে গিয়ে ফের ডাকাতি করেন।