হাসপাতালে কর্মচারীর লাশ, হত্যার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় একটি হাসপাতালের ভেতর থেকে জহিরুল ইসলাম (৩৭) নামে এক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ‘নতুন সেবা’ নামে ওই হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করেছে।

জহিরুল ইসলাম উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি আট বছর যাবৎ ওই হাসপাতালের ফার্মেসিতে কর্মরত রয়েছেন।

স্বজনরা অভিযোগ করেন, জহিরুল দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁ নতুন সেবা হাসপাতালের ফার্মেসিতে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো তিনি গত রাতে দায়িত্ব পালন শেষে হাসপাতালের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে হাসপাতাল থেকে আমাদের জানানো হয়, জহিরুল মারা গেছেন। এই খবর শুনে স্বজনরা হাসপাতালে এসে জহিরুলের লাশ ঘুমানোর কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তারা এ সময় তার হাতে-পায়ে ইনজেকশন পুশ করার চিহ্ন দেখতে পান এবং সঙ্গে হালকা রক্তের ছাপ রয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।

জহিরুলের বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। এ কারণে স্বজনরা সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালের লোকজনদের খুঁজছে। তবে হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে সব বের হয়ে যাবে।’

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা চেক করা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। এটা নিয়ে কাজ চলছে। পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।’

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ‘সকাল ১১টায় হাসপাতালের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে ইনজেকশন পুশ করার চিহ্ন রয়েছে। তবে এখনি নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্ত শেষে বলতে পারবো। এ বিষয়ে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’