আড়াই কোটি টাকার পে-অর্ডার জালিয়াতি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

বরিশালে পে-অর্ডার জালিয়াতি মামলায় উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জেলা খাদ্য বিভাগের খাদ্যসামগ্রীতে পুষ্টিগুণ বাড়ানোর কাজে জামানত হিসেবে ঠিকাদারের দেওয়া ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ১১টি পে-অর্ডার জালিয়াতির মামলায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে আদালতের নির্ধারিত দিনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠান।

নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ওই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান।

মামলার বাদী জেলা খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন,  ‘মামলা দায়েরের পর থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ মুন্সী উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে ছিলেন। আজ বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।’

তিনি আরও জানান,  বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার ১১টি পে-অর্ডার জালিয়াতির অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।  এ মামলার আসামি ফরহাদ মুন্সী এবং অগ্রণী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপক আলী রেজা। একই সঙ্গে ফরহাদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করে তার মালিকানাধীন তিনটি মিল কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এলাহী অ্যাগ্রো লিমিটেড খাদ্য বিভাগের খাদ্যে পুষ্টিগুণ বাড়ানোর তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এই কাজে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত মোট ১১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার জামানত দেয়। যা যাচাইয়ে ভুয়া প্রমাণিত হয়। খাদ্য বিভাগের হিসাবে জমা হওয়া ২ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার টাকার পে-অর্ডারের প্রকৃত মূল্য মাত্র ৭ হাজার ২ শ’ টাকা।

১শ’ টাকার একটি পে-অর্ডার জালিয়াতি করে এক কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৪ টাকা দেখানো হয়েছে। ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ’ টাকার একটি পে-অর্ডার যাচাই করে পাওয়া গেছে ২শ’ টাকা। অন্য ৯টি পে-অর্ডারও অনুরূপ জালিয়াতি করে খাদ্য বিভাগে জমা দেয় এলাহী অ্যাগ্রো। এ ছাড়াও ফরহাদ মুন্সীর আরও দুটি প্রতিষ্ঠান খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত বলে জানিয়েছেন বাদী।