কমেছে মাংস বিক্রি, রমজানে ২৫০ গ্রাম করে বিক্রির সিদ্ধান্ত

আসন্ন রমজানে রংপুর নগরীতে সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। মাংস ব্যবসায়ী ও নগরীর বিভিন্ন বাজার কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।

নগরীর ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় বিক্রি কমেছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো গরুর মাংস কেনা কমিয়ে দিয়েছে। আগে সপ্তাহে এক কেজি করে কিনলেও এখন অনেকে কিনছেন না। কেউ কেউ আধা কেজি করে মাংস কিনছেন। অন্যদিকে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষজন আধা কেজি মাংসও কিনতে পারছেন না। কারও কারও অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা আধা কেজির নিচে মাংস বিক্রি করতে চান না। এসব বিবেচনা করে রমজানে ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি করার আহ্বান জানান মেয়র। রমজানে মাংসের দাম যাতে আর না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র। 

রংপুর সিটি বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আফছার আলী বলেন, ‘নগরীতে ছোট-বড় ২২টি বাজার ছাড়াও পাড়া-মহল্লায় গরুর মাংস বিক্রির দোকান রয়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৭৫-২০০ গরু জবাই করা হয়। বর্তমানে মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে।’ 

নগরীর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আফজাল হোসেন ও ভ্যানচালক সাহাবুল হোসেন জানান, নিম্নআয়ের পরিবারে একবেলায় দেড় থেকে দুইশ গ্রাম মাংস লাগে। রংপুরে এই পরিমাণ মাংস কেনাবেচার প্রচলন নেই। সর্বনিম্ন আধা কেজি মাংস কিনতে হয়, যার দাম ৩৫০ টাকা। এই পরিমাণ মাংস কিনলে একদিনের রোজগারের প্রায় পুরোটাই চলে যায়। এজন্য কেনেন না তারা।

সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র মানুষজন এক মাসেও মাংস কিনতে পারছেন না। রোজা শুরু হওয়ার আগে নগরীর সব মাংস ব্যবসায়ীকে ডেকে মানুষের সাধ্য অনুযায়ী মাংস বিক্রির কথা বলেছি। এজন্য ২৫০ গ্রাম করে বিক্রি করতে বলেছি। ক্রেতারা মাংস কিনতে এসে যেন ফিরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছি ব্যবসায়ীদের।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই নিয়ম বাস্তবায়ন করতে সিটি করপোরেশনের মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করবে। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ প্রশাসনের সহায়তা নেবো আমরা। ব্যবসায়ীরা ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এই নিয়ম প্রথম রমজান থেকে বাস্তবায়ন হবে।’