সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা 

বিয়ের দেড় মাস পর সৌদিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন রনি

সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ইমাম হোসেন রনির (৪০) বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায়। রনি টঙ্গী পশ্চিম থানার বড় দেওরা এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। এদিকে, রনিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে তার পরিবার। এলাকায় চলছে মাতম। 

সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আসির প্রদেশে বাস খাদে পড়ে আগুন ধরে ২৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে গাজীপুরের রনিও ছিলেন।

রনির ছোট ভাই হোসেন আহমেদ জসিম বলেন, ‘২৫ মার্চ উমরাহ পালনের জন্য ভাইকে বিমান বন্দরে দিয়ে আসি। ঠিকঠাকমতো রনি সৌদি পৌঁছে যায়। ওমরাহ পালন শেষে ১ এপ্রিল কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সোমবার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।’

রনির স্ত্রী শীমু আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে তোমরা আমার কাছে এনে দাও। আমি তাকে নিয়ে থাকতে চাই। আমি তো এতো টাকাপয়সা চাইনি। আমি তাকে ছাড়া বাঁচবো না।’

রনির বোন হাজেরা আক্তার সীমা বলেন, ‘ছয় বছর হলো রনি সৌদি আরবে থাকে। দুই মাসের ছুটিতে এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশে আসে। ৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয় সোমবার ইফতারের ১০ মিনিট আগে। ভাই বলেছিল ওমরাহ শেষে কাজে যোগদান করবে। বাংলাদেশে ইফতারের সময় হয়ে গেছে বলে ফোন রেখে দেয়। তারপর ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাই।’

নিহত রনির বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সৌদি আরবের আবা এলাকায় তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ওমরাহ পালনের জন্য সোমবার মক্কার উদ্দেশে সৌদি আরবের আবা এলাকা থেকে রওনা হন। পরে আসির এলাকায় দুর্ঘটনায় অন্যান্য বাংলাদেশীর সঙ্গে তিনিও প্রাণ হারান। সরকারে সহায়তায় আমার ছেলের লাশ চাই। সরকারের কাছে আমার আবেদন তাড়াতাড়ি যেন ছেলের লাশটা পাঠায়।’

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে লাশ আসার পর সরকারি নির্দেশনা অনুসারে সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।’