জেলেকে বিয়ে করায় গ্রামছাড়া, নবদম্পতির পাশে পুলিশ

মৌলভীবাজারে সমাজপতি ও গ্রাম্য মাতবরদের বাধায় বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়া দম্পতিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় নবদম্পতি নিজ ঘরে ফিরেছেন। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকালে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের একটি দল তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়।

এর আগে ওই নবদম্পতি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশ সুপার সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তাদের।  

জানা যায়, সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের উত্তর কাগাবলা গ্রামের ইমন মিয়ার সঙ্গে গত ১৯ মার্চ সাতবাক গ্রামের পলি আক্তারের বিয়ে হয়। ধর্মীয় বিধান মেনে চার লাখ দেনমোহর নির্ধারণ করে নিকাহনামা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কথা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় মুরুব্বিরা। তাদের দাবি, ইমন মৎস্যজীবী। প্রথা অনুযায়ী মৎস্যজীবী পরিবারের সঙ্গে বাইরের কারও বিয়ে হয় না। গত ২৫ মার্চ পলি আক্তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর আলোচনায় আসে বিষয়টি। 

নবদম্পতি পলি ও ইমন বলেন, ‘সমাজপতি এবং মাতবরদের কারণে আমরা এতদিন আত্মগোপনে ছিলাম। এখন ঘরে ফিরেছি। সমাজের সবাই মেনে নিয়েছেন। আমরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাদের সহযোগিতায় সংসার শুরু করেছি।’

মৌলভীবাজার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা বলেন, ‘নবদম্পতি তাদের ঘরে ফিরেছেন। গ্রামের সব পক্ষকে নিয়ে মডেল থানায় বসে সমাধান করা হয়েছে। সেখানে সবাই একমত হয়েছে, তাদের সংসারে কেউ বাধা দিতে যাবে না।’ 

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘গ্রামের মাতবরসহ সবাই তাদের মেনে নিয়েছেন। উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সুন্দরভাবে সমাধান করা হয়েছে। নবদম্পতিকে পুলিশের একটি টিম ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। আশা করি মৌলভীবাজারে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।’