মিতু হত্যা মামলার বিচার শুরু 

চট্টগ্রামের মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিচার শুরু হয়েছে।

রবিবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।

বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ।

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতে বাবুল আক্তার, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া এবং মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিমকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলার আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা এহতেশামুল হক ভোলাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে কালু পলাতক ও মুছা নিখোঁজ রয়েছেন।

মিতুর বাবা আদালতে দাবি করেছেন, বাবুল আক্তারের পরকীয়ার কারণেই স্ত্রী মিতুকে খুন করা হয়েছে। বাবুল আক্তার তার বিশ্বস্ত সোর্সদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে বাবুল আক্তারসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানান। 

বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালতে মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন।’

এর আগে ১৩ মার্চ এ আদালতই বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেয়।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিরকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের কাছে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এই ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিতু হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এরপর পাল্টে যায় মিতু হত্যা মামলার গতিপথ। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে বাবুল আক্তারই মিতু হত্যার মূল আসামি।