ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

কুয়াকাটা উপকূলে চলছে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব দেখতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘোরাঘুরি করছেন পর্যটকরা। তবে, তাদের সৈকতে নামতে দিচ্ছে না টুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা-পুলিশ। 

এদিকে, উপকূলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।  ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যে কিছু সংখ্যক পর্যটক পরিবার পরিজন নিয়ে মোখার প্রভাব উপভোগ করার জন্য এসেছেন।

ঢাকার রামপুরা থেকে কুয়াকাটায় এসেছেন রাকিব তাসনিম। তিনি বলেন, ‘জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় পার করছি সৈকতে বসে। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়া উপভোগ করছি।’ আবহাওয়া খারাপ জানা সত্ত্বেও পরিবার ছেড়ে দূরে অবস্থান করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঝড়ে কেমন থাকে সমুদ্র এটা দেখার জন্যই কুয়াকাটায় আসা।’

শরিয়তপুর থেকে এসেছেন জহির লিমা দম্পতি বলেন, ‘সবে মাত্র বিয়ে করেছি। কুয়াকাটায় হানিমুনে আসছি। ঝড়ের কথা শুনে আর বের হয়নি পথে আটকা পড়ার ভয়ে। এখন পুরো সময়টা ইনজয় করছি।’

ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০ বন্ধু মিলে মোখা দেখতে কুয়াকাটা এসেছেন। সৈকতের গঙ্গামতি পয়েন্টে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে গ্রুপ ফটো তুলছেন তারা। তাদের মধ্যে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘রাজধানীতে বসবাস করি। সরাসরি ঘূর্ণিঝড় দেখার সুযোগ হয় না। মোখার গতিবিধি টেকনাফ-মায়ানমারের দিকে থাকায় বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। তবে বর্তমানে যে আবহাওয়া তাতে কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে বলে মনে হচ্ছে না।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় আমরা সর্বদা পর্যটকদের সতর্কবার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য আমরা বারবার অনুরোধ করছি। কখনো কখনো তাদের ভয়াবহতা বুঝানোর চেষ্টা করছি। তবুও কিছু উৎসুক পর্যটকদের কোনও ভাবেই হোটেলে পাঠানো যাচ্ছে না।’