কাউন্সিলর রিপন হত্যা: ৫ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান রিপন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ রানা (৪৫) পাঁচ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হয়েছে। ফরিদপুর থেকে সোমবার রাতে গাংনী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার মাসুদ রানা জেলার গাংনীর থানাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপে একসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা মাসুদ দীর্ঘদিন ফেরারি ছিল। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, বোমাবাজি, মানুষ হত্যা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল পুলিশের খাতায়।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাউন্সিলর রিপন হত্যা মামলা এবং অন্য একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী রাতে ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় গুরুতর আহত হন মেহেরপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ৮ এপ্রিল মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনার নিহতের বাবা বাদী হয়ে তৎকালীন পৌর মেয়র এবং কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দেওয়া হয়। এতে বাদী নারাজি আবেদন করলে মামলাটি আদালতের আদেশে সিআইডি তদন্ত করে একই রকম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

পুলিশের তদন্তে উঠে আসা চার আসামিকে বিচারিক কাজ শেষে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হওয়া আকালি মিয়া ও আব্দুল হামিদকে জেলা কারাগারে পাঠান আদালত। বাকি দুই আসামি গাংনীর সন্ত্রাসী মাসুদ রানা ও লাল্টু মিয়া আগে থেকেই আত্মগোপনে ছিল।