চট্টগ্রামে ৬ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চট্টগ্রামবাসী। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলা এবং সিটি করপোরেশনের এক লাখ ৪০ হাজার ১২টি পারিবারের ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৩০ জন মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ডুবে গেছে সড়ক ও অলি-গলিসাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মিজান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবারের বন্যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এমন বন্যা অতীতে কখনও দেখিনি। শনিবার থেকে আমি পরিবার নিয়ে পানিবন্দি। ঘরের নিচতলা ডুবে গেছে। এখন দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিয়েছি। ঘরের চুলাও ডুবে গেছে। এ কারণে রান্না করাও কষ্টকর হচ্ছে। ঘরের দোতলা থেকে নামলেই কোমর সমান পানি। এলাকার অনেক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৭ এবং ২০১৯ সালেও বড় বন্যা হয়েছিল। তখন পানি আমাদের বাড়ি পর্যন্ত ওঠেনি। বরং অন্য এলাকার লোকজন আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।’

ডুবে যাওয়া সড়কে চলছে যানবাহনচট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ‘জেলার সবকটি উপজেলায় কমবেশি বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের জন্য শুকনো খাবার এবং পানিবিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।’

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে আমরা কাজ করছি। যেসব পয়েন্টে বিভিন্ন বাধার কারণে পানি জমে আছে, সেসব বাধা সরানোর জন্য কাজ চলছে। কয়েকটি সরকারি সংস্থা ইউটিলিটি সার্ভিস লাইন বসানোয় নগরীতে জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’