বন্যায় লোহাগাড়ার এক ইউনিয়নে ৩০০ ঘর ডুবে গেছে

মো. হাফেজ (৫৮) লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ছত্রপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় দিনমজুর হাফেজের রয়েছে তিন মেয়ে। বন্যায় ডুবে গেছে তার ঘর। এ কারণে রবিবার (৬ আগস্ট) থেকে তিনি ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে। এর মধ্যে পানিতে ভেঙে তলিয়ে গেছে তার পুরো ঘর।

হাফেজ মোবাইল ফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি পেশায় দিনমজুর। যখন যে কাজ পাই সে কাজই করি। স্ত্রী এবং তিন মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। আমার একমাত্র আশ্রয়স্থল মাটির ঘরটিও ভেঙে গেছে। আমার বাড়িভিটায় এতো পানি, আমার ভেঙে যাওয়া ঘরটি এখনও পানির নিচে। বাড়িতে সব জিনিসপত্র রেখে কাপড় নিয়ে বের হয়েছি। জানি না জিনিসপত্রের কি অবস্থা।’

হাফেজের ভাতিজা মো. সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের ঘরেও কোমর সমান পানি। আমার চাচার ঘরটি ভেঙে গেছে। তার সামর্থ্য নেই, নতুন করে আরেকটি ঘর নির্মাণ করবে। একদিকে বন্যা অপরদিকে ঘর হারিয়ে তিনি এখন একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’

আমিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম ইউনুস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে অন্তত ৩০০টির মতো মাটির ঘর ইতোমধ্যে ধসে পড়ার তথ্য পেয়েছি। এই ইউনিয়নের অধিকাংশ বাড়ি-ঘর এখনও পানির নিচে। লোকজন চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। তবে বুধবার (৯ আগস্ট) কিছুটা পানি কমেছে। বৃষ্টি না হলে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে পানি কমে আসবে বলে মনে করছি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পানি কিছুটা কমলেও এখনও অনেক পানি। অনেকগুলো ঘর ধসে গেছে। তবে কি পরিমাণ ঘর ধসে পড়েছে তা এখনও জানা যায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও চালসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।’