টানা সাতদিন বৃষ্টির পর মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাত থেকে বৃষ্টি কমে আসলে পানি নামতে শুরু করে। এতে উঁচু এলাকার পানি নেমে গেলেও ডুবে রয়েছে অধিকাংশ নিচু এলাকা। পানি নেমে যাওয়ায় অনেকেই ফিরছেন নিজ বাড়িতে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা।
এদিকে টানা বর্ষণে বন্যা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ছোট বড় পাহাড় ধসের ঘটনা। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও এখনেও বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবারের বন্যা অতীতের সকল বন্যাকে হার মানালেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু উঁচু এলাকার পানি সরে গেছে। আর এসব এলাকার বাসিন্দারা নিজ বাড়িতে ফিরেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে লেগে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে সবার। এত পানি হবে ভাবেনি কেউ। তাই ঘরের জিনিসপত্র বের করেননি অনেকে। অনেকেই বাড়ির ভেতরে একটু উঁচু স্থানে মালপত্র রেখে ঘর থেকে বের হন। ঘরে ফিরে দেখেন শেষে সম্বলটুকুও নষ্ট হয়ে গেছে। নিচু এলাকার পানি এখনও সরছে না। তাই অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আবার অনেকে স্বজনদের বাড়িতে রয়ে গেছেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মো. আজম বলেন, ‘বেশি ক্ষতি হয়েছে এ বছর। এত পানি হবে ভাবতেও পারিনি। এত পানি কখনো হয়নি অতীতে।’
বিদ্যুৎ বিভাগের দীপ্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘বিদ্যুৎ লাইনে অনেক সমস্যা হয়েছে। আরও চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ, সেনাবাহিনী সবাই মিলিত হয়ে কাজ করছে। যতটুকু সম্ভব প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর রাখছে। তাদের খাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসা ব্যবস্থা সবকিছুই করা হচ্ছে। আশা করছি সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবে।’