বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত জোট আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তারা এখন রাজপথে আন্দোলন করতে না পেরে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে।’

শনিবার সকালে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত চাপাইতোর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন এবং সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংসতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট মানবতার বিরুদ্ধে পৃথিবীর জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছে কিছু কুলাঙ্গার। আমরা কারবালার ইতিহাস নিয়ে কথা বলি। কারবালার ময়দানে নারী, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনকের বাসায় নারী-শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, এমনকি অসুস্থ মানুষও রক্ষা পাননি। ঘাতকরা ১৮ জন মানুষকে হত্যা করেছে। কারবালার ঘটনাকেও হার মানিয়ে দেয় ১৫ আগস্টের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।’

তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে বাংলাদেশ অনেক আগেই সোনার বাংলায় পরিণত হতো। ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, “আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। আমার হিমালয় দেখা হয়ে গেছে।” যে দেশের মানুষের পরনে কাপড় ছিল না, বাসস্থান ছিল না, শিক্ষা ছিল না, চিকিৎসা ছিল না– সেই দরিদ্রপীড়িত দেশের নেতা বঙ্গবন্ধু হিমালয়ের সমান ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে হিমালয়ের চূড়া থেকে সমতলে নামিয়ে আনা হয়েছিল। একটি হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশকে অনেকদূর পিছিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদেরকে শাষন করেছে, শোষণ করেছে, মায়ের ভাষা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে একথা বলে হিন্দু ও মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু এ দেশের মানুষ আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর বিশ্বাস রেখে ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে বাংলা মাকে স্বাধীন করেছে।’