লালমনিরহাটে অটোচালক হত্যা মামলার ৪ আসামি গাজীপুরে গ্রেফতার

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে আলোচিত অটোচালক হত্যা মামলার চার আসামিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার বিকালে আদিতমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

চার জনকে গ্রেফতারের পর কয়েক হাজার এলাকাবাসী ঢাকা-বুড়িমাড়ী মহাসড়ক অবোরোধ করে থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভের পর আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক হ্যান্ডমাইকে দ্রুত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যান।

গ্রেফতার চার জন হলো–  আদিতমারীর খারুভাজ বালাপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম (১৬), শামসুল হক বাবু (৩২), মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মুন্না (১৭) এবং মোমিনুল ইসলাম (৪৫)।

জানা গেছে, অটোচালক আবদুর রাশিদ গত ২০ আগস্ট প্রতিদিনের মতো বুড়িরবাজার মাদ্রাসায় ছোট ছেলেকে খাবার পৌঁছে দেন। তিনি রাতে বাড়ি ফিরে আসেননি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভেটেশ্বর নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেফতার সিরাজুল ইসলাম (১৬) পরিকল্পনা অনুযায়ী সহযোগীদের নিয়ে ঘটনার দিন রাতে বুড়িরবাজার থেকে অটোরিকশা ভাড়া করে বাবুর বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথে ডাকাতপাড়া ব্রিজের ওপর অটো থামিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে শামসুল হক ও মোস্তাফিজুর রহমান রাশিদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে সিরাজুল পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রাশিদ রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তারা টাকাপয়সা এবং অটোরিকশা নিয়ে ভিকটিমকে অর্ধমৃত অবস্থায় ব্রিজের ওপর থেকে পানিতে ফেলে দেয়। পরে অটো নিয়ে মোস্তাফি বাজারে ভাঙাড়ি দোকানে বিক্রি করতে যায়। দোকানি বৈধ কাগজ চাওয়ায় তারা মোস্তাফি বাজারে অটো ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তারা গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় সিরাজুলের বাবা মোমিনুল ইসলামের বাসায় আত্মগোপন করে। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।