ডাকাত সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

বরিশালের মুলাদীর বাটামারা ইউনিয়নের চর সাহেব রামপুর গ্রামে ডাকাত সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় একই পরিবারের চার জন আহত হয়। তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহতের নাম বাবু (২৭)। সে বরিশাল নগরীর কাশিপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। মুলাদীর তয়কা টুমচর এলাকায় নানাবাড়িতে বসবাস করতো সে।

আহতরা হলেন– চর সাহেব রামপুর গ্রামের এছাহাক ব্যাপারী, তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম, ছেলে ইব্রাহিম ও সুমন। তাদের মধ্যে বোমায় আঘাতপ্রাপ্ত সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে এবং অপর আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, এছাহাক ব্যাপারীর বাড়িতে রাত ২টার দিকে ডাকাত দল হানা দেয়। তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে পরিবারের চার সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুট করে। জীবনরক্ষায় পরিবারের সদস্যরা ডাকাত বাবুকে জাপটে ধরে চিৎকার করে। এ সময় আটক ডাকাতকে ছিনিয়ে নিতে বোমা নিক্ষেপ করলে ওই পরিবারের সদস্য সুমন গুরুতর আহত হন।

এরপর বাবুকে রেখে অপর ডাকাত সদস্যরা সটকে পড়ে। গ্রামবাসী এসে আটক বাবুকে মারপিট করে। খবর পেয়ে ভোররাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ডাকাতকে কালকিনি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যদের একজনকে কালকিনি এবং তিন জনকে শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চেয়ারম্যান বলেন, ‘এছাহাক ব্যাপারীর ছেলে বিদেশে যাবে। এই জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ করে। ডাকাতরা ওই বিষয়টি জেনে সেখানে হানা দেয়।’

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চার সদস্যের ডাকাত দল ওই বাড়িতে হানা দেয়। এরপর ডাকাতরা পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা এক ডাকাতকে আটকে রাখে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাতরা। গ্রামবাসী খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে আটক ডাকাতকে গণপিটুনি দেয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর তিন ডাকাতকে আটকের চেষ্টা চলছে।’