মেডিক্যাল ভর্তি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ইতোমধ্যে খুলনা থেকে পাঁচ চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে (খুমেক) ভর্তি হওয়ার বিষয়ে গোয়েন্দা বিভাগের সন্দেহের তালিকার রয়েছেন ১১ শিক্ষার্থী। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
গোয়েন্দা বিভাগে খুমেক কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা তথ্যে জানা গেছে, সন্দেহের তালিকায় থাকা ১১ জনের মধ্যে চার জন প্রফেশনাল পরীক্ষায় ফেল করেন।
গ্রেফতার পাঁচ জনের মধ্যে গোয়েন্দা বিভাগের সন্দেহের তালিকায় থাকা তিন জন রয়েছেন।
এ বিষয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. দীন-উল ইসলাম বলেন, ‘১১ শিক্ষার্থীর একাডেমিক বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল সিআইডি। বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কিনে যদি ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, তাহলে ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়। অবশ্যই প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, খুলনার গ্রেফতারকৃত পাঁচ চিকিৎসককে মেডিক্যাল ভর্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ আগস্ট গ্রেফতার করে সিআইডি। তারা হচ্ছেন– ডা. মো. ইউনুস উজ্জামান খান তারিম (৪০), ডা. লুইস সৌরভ সরকার (৩০), ডা. শর্মিষ্ঠা মণ্ডল (২৬), ডা. মুসতাহিন হাসান লামিয়া (২৬) ও ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা (২৪)।
তাদের মধ্যে ডা. ইউনুস উজ্জামান খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি খুলনার ‘থ্রি ডক্টরস’ নামে একটি মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টারের মালিক। লুইস সৌরভ খুলনা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ওই কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন তিনি। পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থায় চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। মুসতাহিন হাসান, শর্মিষ্ঠা মণ্ডল ও নাজিয়া মেহজাবিন খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।