লাইসেন্স চাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ, ৩ শিক্ষার্থী আটক

বরিশালে মোটরসাইকেল আটক করে লাইসেন্স চাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টসহ চার সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আটককৃতদের সহপাঠীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রাফিক সার্জেন্ট মনিরুল হাসান, কনস্টেবল মো. মোস্তফা ছাড়াও আরও দুই জন আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। আটককৃতরা হলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম, আলভী ও সোহাগ।

ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মনিরুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। এরপর চালকের কাছে গাড়ির এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চাওয়া হয়। একইসঙ্গে হেলমেট না পরার কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে নিজেদের ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা চালান। আমার বডি ক্যামেরা ও ওয়্যারলেস ছিনিয়ে নেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কনস্টেবল মোস্তফাকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। হামলায় আমরা চার জন ‍আহত হই। খবর পেয়ে অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ছিনিয়ে নেওয়া বডি ক্যামেরা ও ওয়্যারলেস উদ্ধার করেন। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আটকের বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষকরা ‍এসে তাদের সড়ক থেকে তুলে দেন। এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, নগরীতে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করা ঠিক হয়নি শিক্ষার্থীদের। তাদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি সমাধান করবো আমরা।

বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ওসি এ.আর. মুকুল বলেন, বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় এসেছেন। আমরা আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।