নির্মাণকাজের জন্য মাটি খুঁড়তেই পাওয়া গেলো মানুষের হাড়গোড়

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী এলাকায় একটি বাড়ির মাটি খুঁড়ে মানুষের হাড়গোড় পাওয়া গেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই বসতবাড়ির পাশের লাউগাছের নিচ থেকে হাড়ের সঙ্গে একটি ফুল প্যান্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের শামসুল ইসলামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রিরা কাজ করছিলেন। শনিবার সন্ধ্যার আগে এক শ্রমিক টয়লেট নির্মাণের জন্য মাটি খনন করছিলেন। সে সময় ওই স্থানে লাউগাছ লাগানো ছিল। শ্রমিক লাউগাছ অপসারণ করতে মাটিতে কোদাল দিয়ে কোপ দেন। তখন লাউগাছটি মাটিতে দেবে যায় এবং দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। সেখানকার মাটি খুঁড়লে একটি প্যান্ট ও মাথার খুলিসহ স্তূপ আকারে থাকা হাড় বের হয়। বাড়ির মালিক খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে সেগুলো উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, এ বছরের ২২ এপ্রিল রাতে পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মাসুদ রানার ছেলে নাঈম হোসেন (২৩) বাড়ি থেকে ধরঞ্জী বাজারের উদ্দেশ্য বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। পরদিন নাঈম হোসনের মামা জাহেদুল ইসলাম পাঁচবিবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।

নির্মাণশ্রমিক নবিউল ইসলাম বলেন, ‘নতুন টয়লেট নির্মাণের  জন্য সন্ধ্যার আগে মাটি কাটতে যাই। সেখানে বাঁশের জাংলার (মাচা) নিচে লাউগাছ লাগানো ছিল। লাউগাছ কোদাল দিয়ে উপড়াতে গেলে গর্তের মধ্যে ঢুকে যায়। এরপর মাটি সরাতে গেলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। বাড়ির মালিক খবর দিলে পুলিশ রাতেই এসে মাথার খুলিসহ হাড়গুলো পলিথিনে মুড়িয়ে নিয়ে যায়।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ওসি ও ফোর্সসহ তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে হাড় উদ্ধার করেছে। তবে নিখোঁজ যুবক নাঈম হোসেনকে হত্যার পর ওই স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।’