রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতালে আবারও অপারেশন চালু

রাজশাহীতে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের সঙ্গে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের ফি বাড়ানোর বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সমঝোতার পর সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন আবার চালু হয়েছে। 

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপারেশন বন্ধ ঘোষণা করেন বাংলাদেশ বেসরকারি ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির রাজশাহী শাখার নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।

অপারেশন চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান শাহ। তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের নির্দেশে আমরা রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষসহ ডাক্তার ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের সঙ্গে বসেছিলাম। ফি বাড়ানোর জন্য তারা তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। আমরাও আমাদের যুক্তি তুলে ধরি। দুই পক্ষের সম্মতিতে তাদের ফি বর্তমানের চেয়ে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। এরপর আমরা আমাদের ঘোষণা তুলে নিই।’

সমঝোতার বিষয়ে কথা বলার জন্য বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট (বিএসএ) রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. খিজির হোসেনকে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্যের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর বলেন, ‘ক্লিনিক মালিদের সঙ্গে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের টানাপড়েন চলছিল। সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছিলাম তাদের সবাইকে নিয়ে বসার। কোনও রোগী যাতে তাদের এই রেষারেষিতে দুর্ভোগে না পড়েন, সেজন্য সুষ্ঠু সমাধান করে দেওয়ার কথা বলেছি। অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের দাবি কিছুটা মানা হয়েছে। এখন সবাই কাজে ফিরবেন। ভবিষ্যতে এমন কিছু যেন না হয়, সবাইকে সতর্কও করা হয়েছে।’

এর আগে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে সব ধরনের অপারেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। মালিক সমিতির ভাষ্য, ‘অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা ফি নির্ধারণ করেছেন বর্তমান ফির  দ্বিগুণের বেশি। তারা আমাদের সঙ্গে ফি বাড়ানো নিয়ে আলোচনাও করতে চাননি। তাদের এই টাকা নির্ধারণ করা হলে রোগীসহ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

অপরদিকে, অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের বলেন, ‘২০১৬ সালের পর আমাদের ফি আর বৃদ্ধি করা হয়নি। ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিকপক্ষ অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের নামে রোগীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করেন। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের নামে (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) নেওয়া টাকা আমাদেরই দিতে হবে।’

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট (বিএসএ) রাজশাহী শাখা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে পারিশ্রমিকের নতুন তালিকা পাঠালে দুই পক্ষের দর-কষাকষি ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।