নদী থেকে বালু উত্তোলন: ৩ জন আটক, কোটি টাকার মালামাল জব্দ

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের কাবিলপুর মোড়লপাড়া গ্রামে আখিরা নদী থেকে বালু উত্তোলন করার সময় উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করেছেন। এ সময় বালু উত্তোলন করার এক্সক্যাভেটর, একটি ড্রাম ট্রাক এবং ৮টি গাড়িসহ কোটি টাকার মালামাল জব্দ করা হয়েছে। বুধবার দিনভর এ অভিযান চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার টুকনিপাড়া গ্রামের শামসুল মাস্টারের ছেলে স্বপন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যই আখিরা নদী থেকে মেশিন দিয়ে ভূর্গভস্থ বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল। ইতোমধ্যে সে অর্ধশতাধিক কোটি টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। বালু উত্তোলন করায় ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আবাদি জমিগুলো থেকে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। আশপাশের এলাকায় চাষাবাদে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এদিকে, এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা তকী হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার অভিযান চালাতে গেলে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে বালু উত্তোলনকারী তিন শ্রমিক শাকিল মিয়া, রাহিনুল ইসলাম ও জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করার আদেশ দেন ভূমি কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে উত্তোলন করা বালু ও বালু বহনকারী কোটি টাকা মূল্যের গাড়িসহ মালামাল জব্দ করার আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা তকী ফয়সাল জানান, গ্রেফতারকৃতরা দিনমজুর হওয়ায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ১৫(১) ধারায় তিন জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা একটি এক্সক্যাভেটর, একটি ড্রাম ট্রাক ও ৮টি কাঁকড়া গাড়ি জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সব মালামাল নিলামে বিক্রি করে সমুদয় অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে বালু ব্যবসায়ী স্বপন পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান।